বরিশালের আগৈলঝাড়ার খরস্রােত সন্ধ্যা নদী বাগধা নামক স্থানে ১৫ দিনযাবত বালু ফেলে ভরাট করে দখল করছে বাগধা বাজারে এক ওষুধ ব্যবসায়ী। এতে সন্ধ্যা নদী সংকুচিত হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। যার কারণে ওই নদী দিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দখলকারীদের কারনের দখল হয়ে যায় নদীর জায়গা। নদী দখলের কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে ক্রমে খালের পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ও বাকাল ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদীর পূর্বপার দখল করে বালু ভরাট করছে দখর করছে স্থানীয় আবদুল অজেদ ভাট্রির ছেলে ওলিউর রহমান ভাট্টি ও বাগধা গ্রামের আবদুর রব তালুকদারের ছেলে বাগধা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী এমদাদুল হক তালুকদার। তারা নদী দখলের সময় ভূমি অফিসের লোকজন এসে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন, কয়েকদিন পরে পুনরায় আবার ভরাট শুরু হয়। এছাড়াও পরসারহাটে বালু ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন শিকদার পয়সারহাট ব্রীজের উত্তর পাশে সন্ধ্যা নদীর পার দখল করে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন বলে জানাগেছে। স্থানীয় রমেশ অধিকারী, বাদল তালুকদার, সৈয়দ রাকিব বলেন, সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন সরেজমিন গিয়ে সার্ভেয়ার ও তহলিদারদের দিয়ে নদীর সীমানা নিধারন করে দেন। কাওছার শিকদারকে বালুসরিয়ে নিতেবলাহলেও এখন পর্যন্ত দখল করা নদীর জায়গা থেকে বালু অপসারণ করেননি। কাওছার শিকদার প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার উচ্ছেদ করা হলেও তারা পুনরায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নদীর পার দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। সন্ধ্যা নদীর দু-পাড়ে আগৈলঝাড়া অংশের ১০-১২টি স্থান দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা করে আসছে প্রভাবশারী ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে নদী দখল করে বালু ভরাটকারী অভিযুক্ত এমদাদুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি যেখানে বালু ভরাট করেছি সেইজায়গাটি আমি চাঁদত্রিশিরা গ্রামের আবদুর জব্বার ভাট্টি, ছালাম ভা্িট্টসহ ১২জনের কাছ থেকে ১৮শতাংশ জায়গা ক্রয় করি। ভরাট করা জায়গা সন্ধ্যা নদীর নয়। আমার ক্রয়কৃত জায়গা। কাওছার শিকদার বলেন, পয়সারহাট নামক স্থানে সন্ধ্যা নদীর উপরে নির্মিত সেতুর নিচে নদীর কিছু অংশ আমি দখল করে বালু ব্যবসা করছি এটাসত্য। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওলিউর রহমান ভাট্রি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সন্ধ্যা নদীরপাড় বালুদিয়ে ভরাট করেছি তার আমার জায়গা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা নদীতে বালু দিয়ে ভরাটকরেকেউ দখল করে সে যেইহোক তাকে ছাড়া দেয়া হবে না। আমি নদীর পাড় সরেজমিন পরিদর্শণ করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।