ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মারাতœক ঝুকি নিয়ে চলছে পাঠদান। পাঠদান এবং দ্বিতীয়তলায় প্রধান শিক্ষকের জন্য অফিস কক্ষ নির্মাণ কাজ চলছে একসঙ্গে। যে কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পিডিপি-৪ প্রকল্পের অধীনে চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় প্রধান শিক্ষকের জন্য একটি অফিস কক্ষ নির্মাণের জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।২০২০ সালে নির্মিত ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের সিঁড়ি ঘরের উপরের ছাঁদ ভাঙা এবং ইট ও কংক্রিটের টুকরা বারান্দা ও মূল ফটকের সামনে প্রায় ৩ বছর পড়ে থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাচলে ও পাঠদানে সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় যে কোনো শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় কবলিত হতে পারে। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ভবনটির ৪টি কক্ষে শিশু, প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয় এবং একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী ফলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য আলাদা অফিস কক্ষ নির্মাণের বরাদ্ধ আসে। কালীগঞ্জ চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্ধকৃত অর্থ পর্যাপ্ত না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের ভবনের দ্বিতীয়তলায় অফিস কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ভাঙা ইট কংক্রিটের স্তুপ করে রাখা হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অপর একটি পকেট গেট দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। ভবন ভাঙার বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে চলাফেরা ও পাঠদানে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম ইসলাম জানায়, প্রতিদিন প্রচন্ড শব্দের আমাদের ঠিকমতো ক্লাসে বসে পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের চলাচলও করতে হচ্ছে সাবধানে। শব্দের কারণে স্যারদের কথা ঠিকমত শুনতে পারি না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভা রানী জানান, অফিস কক্ষ নির্মাণের জন্য আমার বিদ্যালয়ের দু’টি ভবনের মাঝামাঝি একটি স্থানে করার ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে বলেছিলাম। কিন্তু সেটি করা সম্ভব না হওয়ায় নতুন ভবনের দোতলায় করা হচ্ছে অফিস কক্ষটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ যেভাবে করছে তাতে চলমান পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অনেকটা সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা রাখছে বলে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন। যাতে করে অনাকাঙ্খিত যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারি। অফিস কক্ষ নির্মাণাধীন ভবনে চারটি শ্রেনির পাঠদান কার্যক্রম চলে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পে উল্লিখিত নকশার আলোকেই অফিস কক্ষ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। যেহেতু একই ভবনে পাঠদান ও নির্মাণ কাজ চলছে সেহেতু দ্রুত ইট, কংক্রিটের স্তুপ সরিয়ে ফেলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে আমি এখনই জানিয়ে দিচ্ছি। এ ছাড়া সতর্কতার সঙ্গে নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যাপারেও বলব যাতে করে শিক্ষাথীদের কোন সমস্যা না হয়।