মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদী দখলমুক্তে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গজারিয়ায় উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসূলপুর খেয়াঘাট থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে ভাসমান রেস্টুরেন্ট, ছোপ, বালু লোড আন লোডের একটি ড্রেজারসহ ৬১টির মতো স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়,ফুলদী নদের ইমামপুর ইউনিয়নের অংশে পিলার উঠিয়ে এবং লাল পতাকা টানিয়ে নদীর জায়গা চিহ্নিত করা হয়। এরপর অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে টানা দুদিন মাইকিং করার পরেও দখলদাররা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়নি। অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তার বলেন, ফুলদী নদীর লঞ্চ ঘাটের এর আশপাশ প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। আমরা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে দুদিনের অভিযানের আজ শেষ দিনে ৬১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ'র মেঘনা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলামসহ গজারিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।