পাবনার সুজানগরে বৃহত্তর গাজনার বিলসহ ২০টি ছোট বড় খাল-বিল রয়েছে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে ওই সকল বিল প্রায় সম্পূর্ণ পানি শূন্য হয়ে পড়ায় উপজেলার হাট-বাজারে তীব্র মাছ সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নূর কাজমীর জামান খান জানান, এ উপজেলার বৃহত্তর গাজনার বিল প্রাকৃতিক মাছের বড় উৎস্য। এ ছাড়া ছোট বড় আরো ১৯টি খাল-বিল থেকেও প্রচুর প্রাকৃতিক মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমে বৃহত্তর গাজনার বিলসহ অন্য ১৯টি খাল-বিলও প্রায় সম্পূর্ণ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহত্তর গাজনার বিলের ক্যানালে সামান্য কিছু পানি থাকলেও তাতে মাছ নেই। সেকারণে উপজেলার সর্বত্র মাছ সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের ভুক্তভোগী মাছ ক্রেতা আবদুল জব্বার বলেন, বর্তমানে হাট-বাজারে স্থানীয় পুকুরে চাষ করা কিছু পাঙাস, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প এবং বাটা মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সুজানগর পৌর বাজারসহ কোন কোন হাট-বাজারে কিছু ইলিশ মাছ উঠছে। কিন্তু দাম প্রচণ্ড চড়া। পুকুরে চাষ করা মাছের দামও অস্বাভাবিক চড়া। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ভ্যান চালক আবদুল লতিফ বলেন সোমবার পৌর বাজারে মাছ কিনতে আসা ভ্যান চালক শাহজাহান আলী বলেন আগে পুকুরে চাষ করা প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০টাকা দরে। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা থেকে ১৮০টাকা দরে। ফলে মাছের এই চড়া বাজারে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে মাছ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।