শেরপুরের নালিতাবাড়িতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের একটি খাল পুনখনন বন্ধ করে দিয়ে সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীসহ চারজনকে মারধররে ঘটনায় উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে (৪৫) ও উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের সহসভাপতি জাকারিয়া কে (৪২) আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে কাকরকান্দি ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় বাজার থেকে আমিনুল এবং সন্ধায় নালিতাবাড়ী থেকে জাকারিয়াকে কে আটক করা হয়। চলতি বোরো মৌসুমে খাল খনন করলে বোরো চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন-এমন দাবীতে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে খাল খনন বন্ধে আন্দোলন করলওে মূলত দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে ওই আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েেছ বলে দাবী করেন এলজিইডি র্কতৃপক্ষ।
সূত্রমতে, সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধদিপ্তরের (এলজিইডি) ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পণ্ড২ এর অধীনে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ফুলপুর বান্দের বাজার থেকে কাকরকান্দি ইউনিয়নের রসাইতলা কাঁকরামারির্ র্পযন্ত ১০.৭ কিলোমিটার র্দীঘ সুতিয়ার খাল পুন:খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দে ওই কাজটি সুতিয়ার খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিিত লিঃ এর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও কমিটি মেয়াদোর্ত্তীণ হওয়ায় এডহক কমিিট সাথে নিয়ে বাস্তবায়নে নামের্ র্কতৃপক্ষ।
গেল সপ্তাহে খালটি পুনখনন করতে গেলে কাকরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতেৃত্বে একদল কৃষক বাধা প্রদান করনে। পরে বৃহস্পতিবার রসাইতলা গ্রামের শাখা খালটি পুন:খনন করতে দুটি স্কেভেটের নিয়ে কাজ শুরু করে এলজিইডি র্কতৃপক্ষ। দুপুররে দিকে আ.লীগ নেতা আমিনুলের নেতেৃত্বে একদল কৃষক খনন কাজ বন্ধ করে দেন এবং খনন কাজের তদারকিতে থাকা এলজিইডি শেরপুর র্কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী হাসানুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস ও কাজি মঈন উদ্দনি এবং নালতিাবাড়ী র্কাযালয়ের ফেসেলিটিটের মেহেদী হাসানকে মারধর করে। পরে আহতদরে পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার করে নালতিাবাড়ী উপচেলা হাসপাতালে র্ভতি কর হয়।
এদিকে এ ঘটনায় রাতেই সহকারী প্রকৌশলী হাসানুর রহমান বাদী হয়ে আ.লীগ নতো আমিনুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান বুলবুলসহ ১০ জন কে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়কেজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অন্যদেিক আমনিুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ করেেছ তার অনুসারী কৃষকরা।
রসাইতলা গ্রামরে গ্রামরে কৃষক সেকান্দর আলী, শাহ আলমসহ অনকেইে জানান, আমাদের খালটি মরা। এটি খনন করা হলে খালে পানি জমবে আর সে পানি থেকে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করতে পারব। তারা বলনে, আমাদের কোন সমস্যা হয় না, তাহলে অন্য এলাকার কৃষকরা কেন এখানে এসে খনন কাজ বন্ধ করে দেয়? এ সময় তারা খালটি পুনখনের দাবী জানান।
অন্যদিকে পলাশিয়া গ্রামের কৃষক সোহরাব আলীসহ অন্যরা জানান, র্বতমানে বোরো আবাদ চলমান। এ সময় খনন কাজ করা হলে খালটি একেবারে শুকিয়ে যাবে। তখন আমরা সেচ দিতে পারব না। ফলে বোরো আবাদ ক্ষতি গ্রস্থ হবে।
সহকারী প্রকৌশলী হাসানুর রহমান ও উপসহকারী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস জানিয়েছেন, আমিনুল ইসলামসহ কতিপিয় ব্যক্তি আমাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন। আমরা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্থানীয় কৃষকদের ক্ষেপেয়ে খাল খনন কাজে বাধা প্রদান করে।
এলজিইডি শেরপুর র্কাযালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তািফজুর রহমান জানান, আমাদের কাছে আমনিুলসহ স্থানীয় কয়কেজন ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ওই চাঁদা না পেেেয় কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে আমার অফিসারের লোকদরে উপর হামলা করা হয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করে প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।