সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পশ্চিমে শেষ ভারত সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের সম্মুখে ইছামতী নদীর পাড়ে অরক্ষিত অবস্থায় আছে মল্লিক শাহ পীরের মাজার ও পীরের দরগা। স্থানীয়রা এটাকে মল্লিক পীরের মাজার বা দরগা বলেই জানে। তবে ঠিক কত দিন পূর্বে মল্লিক শাহ এপার বাংলায় এসে ছিলেন বা তার বংশ পরিচয় সম্পর্কে সঠিক করে কেউ বলতে পারে না। তবে এই পীর কে নিয়ে অনেক অলৌকিক কাহিনি বা গল্প এখনো লোক মুখে প্রচলিত আছে। কলারোয়া উপজেলার ইতিহাস রচয়িতা আলহাজ¦ অধ্যক্ষ আবু নসর তার “কলারোয়া উপজেলার ইতিহাস” বইতে এই মল্লিক শাহ পীরের কথা উল্লেখ করেছেন। স্থানীয় মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে এই পীরের মাজারে মানত নিয়ে আসে। মাজারের আঁশ পাশে ঘণ বসতি গড়ে ওঠা বা গরু ছাগল বেঁধে রাখায় মাজারের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন। স্থানীয়রা মনে করেন, ইতিহাস খ্যাত মল্লিক শাহ পীরের মাজার সংস্কার ও সুরক্ষিত করতে পারলে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে এই চন্দনপুরে পর্যটক আসতে পারে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। এটি সংরক্ষনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছে ইউনিয়নবাসীর দাবি করেছেন।