পূর্ব সুন্দরবন থেকে একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকার গহীন বনের একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় বাঘের মরদেহটি উদ্ধার করেন বনরক্ষীরা। বনবিভাগ জানায়, মৃত বাঘটি উদ্ধারের পর কচিখালী স্টেশন অফিসে নেওয়া হয়েছে। বাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের পর শরণখোলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোসাহেব হোসেন ও মোড়েলগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইউনুস আলীর নেতৃত্বে একটি দল শরণখোলা রেঞ্জের ডুমুরিয়া পেট্রল ফাঁড়ি এলাকায় পোষ্টমডেম রিপোর্ট সম্পন্ন করেছে। এ বিষয়ে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোসাহেব হোসেন বলেন, আনুমানিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বাঘটি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাঘটির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, ওজন ২৫৫ কেজি এবং বয়স প্রায় ১৪ বছর। তার ধারনা বার্ধক্য জনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে পোষ্টমডেম রিপোর্টের যে আলামত বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে তার ফরেন্সি রিপোর্টে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে শরণখোলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোসাহেব হোসেন বলেন, পোষ্টমডেম রিপোর্টের আলামত বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মৃত বাঘটিকে অঙগ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের জন্য চাদপাই রেঞ্জের মংলার করমজল এলাকার পার্কে নেয়া হয়েছে। তার আনুমানিক ধারনা বার্ধক্য জনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য বনের গহীনে একটি খালে ভাসমান অবস্থায় মৃত বাঘটি পাওয়া যায়। পুরুষ বাঘটি বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ময়না তদন্ত শেষে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তা ঢাকা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে। ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।