পুঠিয়া থানায় মামলা গ্রহন করা হয় রাজনৈতিক তদবিরে। ভুক্তভোগিরা বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা করছে। থানা মামলা গ্রহন না করায়,উপজেলা জুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে আ.লীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছেন। এ কারণে,একজন প্রভাবশালী নেতার তদবির ছাড়া থানা পুলিশ রাজনৈতিক কোনো মামলা গ্রহন করছে না। বানেশ্বর এলাকার মাহাবুব আলম বাবুর বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২৫ জানুয়ারি হামলা করা হয়। সে আ.লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করে ছিলেন। এক প্রভাবশালী নেতার তদবিরের কারণে থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেননি বলে বাবু অভিযোগ তুলেছেন। তাই সে বাধ্য হয়ে ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী কোর্টে মামলা করেছে। জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ২ ফের্রুয়ারি জেকের মোল্লার ধান-চাউল্রে মিলে হামলা করা হয়। ওই এলাকার, লবির উদ্দিনের দোকান এবং বাড়িতে হামলা করে তার স্ত্রীকে মারধর করে ছিল। সে মামলা করতে আসলে থানা পুলিশ তা গ্রহন করেননি। থানা মামলা গ্রহন না করায়,এলাকার অনেক মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। উপজেলা জুড়ে পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় মাদককারবারিদের তৎপরতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কিছু জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে মাদককারবারের সঙ্গে জড়িতে পড়েছেন। রাতের-আধাঁরে প্রান্তিক চাষীদের তিন ফসলী জমিতে জোরপূর্বক পুকুর খনন করা হচ্ছে। রোববার ১১ ফের্রুয়ারি বানেশ্বর বাজারের ট্রাফিক মোড়ে ৯টি দোকানে চুরি হয়েছে। বানেশ্বর বাজারের সিদ্দিক হোসেন বলেন,বর্তমানে থানা পুলিশ কাঙ্খিত সেবা দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করছে না। তাই উপজেলার সর্বত্র স্থানে ঝামেলা শুরু হয়েছে। রাজশাহী জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক আহাসানুল হক মাসুদ বলেন,বর্তমানে থানা পুলিশ একজন বিষেশ ব্যক্তির তদবির ছাড়া মামলা গ্রহন করছে না। এ কারণে এলাকার কিছু ব্যক্তি অপরাধ করেই চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আগামীতে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা
রয়েছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, যে কেউ থানায় মামলা করতে আসলে তাদের মামলা গ্রহন করা হয়ে থাকে। আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের ওপর মহলের এমনটি নিদের্শ রয়েছে।