ভোলা লালমোহনের ‘করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসাটি’ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দু'চালা টিনসেড ঘরে তখন থেকে এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। বিগত প্রায় দুই যুগ ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে মাদ্রাসার এ টিনসেড ঘরটি। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ভিজে যায় অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ও কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের বই-খাতা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে ১ম শ্রেণীতে থেকে আলিম পর্যন্ত সাড়ে ৪শত শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। এবং প্রতিবছর জেডেসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় অন্তত একশত শিক্ষার্থী। আর প্রতিবছর মাদ্রাসায় নতুন করে ভর্তি হয় দেড়শত’র মত শিক্ষার্থী। এসকল শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে লেখাপড়া করছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ১৯৪৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরই এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। ওই মাদ্রাসার আলিম ও দাখিলের শিক্ষার্থী মো. ইউসুফ হোসাইন ও হাসনাইন ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা, জেসমিন ও ফাতেমা জানায়, বৃষ্টি আসলে টিনের চালা দিয়ে ভিতরে পানি পড়তে থাকে। এতে করে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টের হয়ে যায়। এতে করে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মানের দাবী জানাচ্ছি। করিমগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, মাদ্রাসার দু’চালা ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম। বর্ষা হলেই আতঙ্কে থাকি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে। নতুন একটি ভবন নির্মানের জন্য সাতবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম আরও বেগবান করতে অতি শিগগিরই মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মানের জোর দাবী জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতিটি মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে পাকা ভবন হবে। এ মাদ্রাসাটিও ভবনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তভূক্ত আছে। আশা করছি খুব শিগ্রই মাদ্রাসাটির নতুন পাকা একটি ভবন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাস হবে।