ভোলার লালমোহনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ভুলের কারণে পরীক্ষা দেওয়া হলো না তিন শিক্ষার্থীর। ১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়েছে, লালমোহন থেকে এই তিন শিক্ষার্থীর অধ্যক্ষের ভুলের কারণে দেওয়া হলো না দাখিল পরীক্ষা। ফলে তারা পরীক্ষা না দিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের করিমগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহম্মদ রুহুল আমিনের দুর্নীতির কারণে শিক্ষার্থীদেরকে বর্তমানে প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সাথে, তাদের পিতা মাতা ও রোল নম্বর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এমনকি ছবির সাথে মিল না থাকায় তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ করে সোনিয়া নামের এক শিক্ষার্থী জানান শুধু সোনিয়া নামের সাথে মিল রয়েছে কিন্তু আমার পিতা মাতা এমনকি ছবির সাথে তার মিল না থাকায় তারা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যান। সোনিয়ার পিতার নাম আবু তাহের মাতার নাম নুরজাহান, কিন্তু তার হাতে যে প্রবেশপত্রে রয়েছে, তাতে বাবার নাম দেখানো হয়েছে নাজিমুদ্দিন মাতার নাম শাহনাজ বেগম যা সম্পূর্ণ ভুল। শুধু সোনিয়া নয় এভাবে ভূলে রয়েছেন আরো দুই শিক্ষার্থী, যেখানে তাদের ছবির নাম এমনকি পিতা মাতার নামের সাথে কোন মিল নেই। সোনিয়ার মা শাহনাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন করিমগঞ্জ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিনের দুর্নীতির কারণেই আজকে তাদের মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না, তাদের যদি ভুল হতো তাহলে তাদেরকে কেন আগে জানানো হয়নি, নিয়মিত শিক্ষার্থী হয়েও কেন আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটা সম্পূর্ণ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষর দুর্নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে যদি বলে হতো তাহলে একটা দুইটা ভুল হত সব বিষয়ে ভুল হতো না, আমার মনে হয় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাটিফিকেট দেওয়া জন্য তিনি এ কাজ করেছে। এ বিষয়ে করিমগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায় এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। লালমোহন দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, কেন্দ্রের ভিতরে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে শুনেছি বাহিরে এমন ঘটনার কানাঘুষা চলছে। লালমোহন উপজেলা একাডিমিক সুপারভাইজার মদন মহন বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক ঘটনা, তাদের নামের সাথে কাগজপত্র মিল না থাকে তাদেরকে আমরা পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়েছি। তবে বোর্ড থেকে কাগজপত্র ঠিক করে আসলে, তারা আগামীতে পরীক্ষা দিতে পারবে।