দেশের প্রায় সব চরাঞ্চলেই সবজি ও ফসলের উৎপাদন বেশ ভাল। তেমনি চাঁদপুর মেঘনা নদী অববাহিকায় জেগে ওঠা চর কৃষি অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এরফলে চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জীবনমান ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। চরে অভাবি মানুষ নেই। চাষাবাদ করে চরের বাসিন্দারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। চরবাসীর এই উন্নয়নে জেলা প্রশাসকের আগ্রহের কারণে অনাবাদি জমিকেও চাষাবাদে আনতে কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এক সময়ের চর নিয়ে দখলবাজদের ক্ষমতার লড়াইয়ের অন্ধকার পথ পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলে এখন কেবলই আশার আলো। বিশেষ করে পান-সুপারির জন্য সুপরিচিত হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলের উৎপাদিত সবজি কেবল চাঁদপুরই নয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। চাঁদপুরের চরাঞ্চলের সেই জমি গুলোকে আরো ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষক সমাবেশ করছেন জেলা প্রশাসক। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ চাঁদপুর জেলায় চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিকে আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে সেই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে করা হয় চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর মেঘনা- পদ্মার চরে। ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক অপর্ণা বৈদ্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, এনএসআই উপণ্ডপরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নূর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, নদী অববাহিকায় জেগে ওঠা চর কৃষি অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলে চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জীবনমান ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। চরে ফসল উৎপাদনে যেসব ঝুঁকি রয়েছে, তা মোকাবিলা করার জন্য শস্যের বহুমুখীকরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই চর এলাকায় যে সীমিত সম্পদ রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি। এ সময় কৃষকদের মাঝে সেচ পাম্প ও কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়।