খুলনার পাইকগাছায় একের পর এক দুর্ধর্ষ চুরি-ডাকাতি ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারন মানুষ। গত বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত চোররা দৈনিক যুগাস্তর ও লোকসমাজ পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি জিএম মিজানুর রহমানের বসত ঘরে প্রবেশ করে আলমারির উপরে থাকা চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি আংটি ও একটি নাক ফুল চুরি করে পালিয়ে যায়। এ সময় পাশের রান্না ঘরে থাকা সাংবাদিক মিজানের স্ত্রী স্বামী বাড়িতে এসেছেন ভেবে তাকে রান্নাঘরে ডাকতে থাকেন। একপর্যায়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনিই আসছেন জানিয়ে ঘরে গিয়ে আলমারি খোলা ও তার মধ্যে কোনো স্বর্ণালংকার না দেখে বিষয়টি স্বামীকে অবগত করেন। সর্বশেষ খবর পেয়ে থানা পুলিশ, যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যুবলীগ নেতা অ্যাড. শেখ আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরআগে ৬ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার ভেরবঘাটা রামচন্দ্র নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসসহ ৪টি শ্রেণী কক্ষের ১৩টি তালা ভাংচুর অফিসের আসবাবপত্র, কাগজপত্র তছনছ, ২০টি সিলিং ফ্যান, ২২টি পানির ট্যাব ভাংচুরসহ প্রায় লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনদিন পরে ৮ ফেব্রুয়ারী উপজেলার হাউলী ৭৬নং কেএইচ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাতে চোরেরা স্কুলের বিভিন্ন জিনিস সহ ২০টি সিলিং ফ্যান চুৃরি করে নিয়ে যায় বলে জানান ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। ৯ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছার হাবিবনগর ফাজেল ডিগ্রী মাদ্রাসায় রাতে ৩য় ও ৪র্থ তলায় চারটি বাথ রুমের দরজার ছিটকিনি কেটে সকল ট্যাবসহ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার রাড়-লী ইউনিয়নে বোরহানপুর গ্রামে গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা ও বেঁধে রেখে পাশবিক নির্যাতন, অতঃপর ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার মূলহোতা একাধিক মামলার আসামি এনামূল জোয়াদ্দার (২৫) শুক্রবার অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। চুরির ব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওবাইদুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদস্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।