গাজীপুরের কাপাসিয়ার প্রত্যন্তএলাকায় ক্যান্সার সেন্টারের উদ্বোধন, ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী রিমি বলেন, মানুষকে সচেতন করাটাই হলো আমাদের বড় দায়িত্ব। যারা রাজনীতি করে বা রাজনৈতিক দলের কর্মী তাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ এলাকায় এ ব্যাপারে মানুষদের সচেতন করা। তাদের জীবন আচার, জীবন কিভাবে চলবে এবং কর্মের প্রতিটা ক্ষেত্রে সচেতন করা। যদি আমরা সচেতন করি মানুষকে তাহলে মানুষের জীবন মানের যে উন্নয়ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাবেন। আমাদের এই কাপাসিয়ায় প্রচুর ফল ও সবজি পাওয়া যায়। আমরা বেশি বেশি করে ফল ও সবজি খাব এবং চাষ করবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জমি ও যেন খালি না থাকে। মানুষের পাশে থেকে মানুষদেরকে সচেতন করা যে, 'হাত পেতে নেয়ার থেকে নিজে তৈরি করে খাওয়া অনেক বেশি জরুরী'। 'কর্ম আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম'। আমাদের মানুষের জীবন মানে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা কাজ করবো। উপজেলার টোক ইউনিয়নের শরীফ মোমতাজ উদ্দীন আহমেদ ডিগ্ৰি কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার। এ সময় তিনি বলেন, ৪০ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। ৯৫ ভাগ ক্যান্সার হয় তামাক ব্যবহারের জন্য। আমাদের সচেতন হতে হবে ধূমপান, তামাক, গুল এসব বদঅভ্যাস থেকে দূরে থাকলে তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সেলিম ও কাপাসিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুবকর মিয়া প্রমুখ। আলোচনা সভার শেষে ক্যান্সার সচেতনতামূলক একটি শোভাযাত্রা বের হয়। পরে উপজেলা ক্যান্সার সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন।