টাকা হারিয়ে পাগলের মত কান্না করছিলেন এক হকার, কোথায় পাব টাকা কে আমাকে এ টাকা দিবে এ বলে পাগলেরর মত ছুটে বেড়াচ্ছিলেন। এক হকারের হারিয়ে যাওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ঝিনাইদর কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার শাহজাহান শেখ। শুক্রবার দুপুরে টাকার প্রকৃত মালিক হকার আইয়ুব হোসেনকে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। হকার আইয়ুব হোসেনের বাড়ি কোটচাদপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামে। তিনি খুলনা থেকে ছেড়ে আসা দুরদুরান্তের বিভিন্ন ট্রেনে হকারি করেন। অনেক সময় বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে হকারি করেন।
মোবারকঞ্জ রেলস্টেশনের চা বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, স্টেশনের কর্মরত এক আনসার সদস্য স্টেশন প্লাটফর্মে টাকা পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি টাকা নিয়ে মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার শাহজাহান শেখের কাছে জমা দেন। পরে স্টেশন মাস্টার ঘোষণা দেন কিছু টাকা পাওয়া গেছে। উপযুক্ত প্রমান দিতে পারলেই তাকে টাকা গুলো দিয়ে দেওয়া হবে। ওই হাকার এসে তার টাকা দাবি করে উপযুক্ত প্রমান দেন।
মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার শাহজাহান শেখ বলেন, শুক্রবার সকালে ট্রেনে খুলনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনে আসেন হকার আইয়ুব হোসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন তার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে। এ সময় টাকা হারিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন ও দিকবিদিক স্থানে খুঁজে বেড়ান। হারিয়ে যাওয়া টাকার জন্য সে পাগলের ন্যায় হয়ে পড়েন। অবশ্য এটাকা পেয়ে রেলস্টেশনের এক আনসার সদস্য পেয়ে ষ্টেশন মাষ্টার শাহাজার শেখের কাছে জমা রাখেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপযুক্ত প্রমান দেওয়ায় আইয়ুব হোসেনের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
এতগুলো টাকা ফিরে পেয়ে খুশি হয়ে আইয়ুব হোসেন বলেন, আমি বিভিন্ন বাজার ও ট্রেনে হকারি করে যা আয় করি তা দিয়ে আমার পরিবার পরিজন বেঁচে থাকি। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা যাওয়ার জন্য কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনে এসেছিলাম। দুপুরে ট্রেন আসার কিছুক্ষণ আগে আমি টের পাই আমার কাছে থাকা টাকা হারিয়ে গেছে। আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। ধরেই নিয়েছিলাম আমার টাকা আর ফেরত পাবো না। কিছুক্ষণ পরে স্টেশন মাস্টার ঘোষণা দেন, কিছু টাকা পাওয়া গেছে। আমি প্রমান উপস্থাপন করার পর তিনি আমাকে টাকা গুলো ফেরত দেন। স্টেশন মাস্টার শাহজাহান শেখ ও আনসার সদস্য দুজনই খুব ভালো মানুষ বলে মন্তব্য করেন আইয়ুব হোসেন।