ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর হাট-বাজারের ভিতরেই গবাদি পশু জবাই করা হয়। ফলে হাট-বাজার ঢুকতেই বিকট গন্ধ নাকে অনুভব হয়। এ ছাড়াও হাটের চক বাজার এলাকায় গরুর ভূড়ি পরিস্কার করায় প্রতিদিন পঁচা গন্ধের দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। কে কার কথা শোনে?
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও জানে না, সরকারি কোন বিধিতে গরু জবাহ করতে হয়। মাংশ বিক্রেতারা কোন লাইসেন্স ব্যবহার করে গরু জবাহ করবেন? সরকারি বিধি উপেক্ষা করে দিব্যি তারা ব্যবসা চালিয়ে জাচ্ছেন। রোগাক্রান্ত গরু চুপিসারে জবাহ করে বাজার মূল্যে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে অহরহ।
বেশ কয়েক বছর হয় ভূরুঙ্গামারী সদর হাট-বাজারে গরু জবাহ প্রশাসন বন্ধ করলে জনাব মন্ডল স্যারের পুকুর পারে গরু জবাহ করার স্থান নির্ধারন করা হয়। পরবর্তীতে আবার ভূরুঙ্গামারী হাটের দিন এবং বাজারের দিন গরু জবাহ শুরু করেন। সপ্তাহে একদিন মাংশ বিক্রয় বন্ধ থাকার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বহুবিধ সমস্যা নিয়েই ভূরুঙ্গামারী হাট-বাজারে মাংশ বিক্রেতারা দিন দিন মাংশের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের নিকট থেকে অতিরিক্ত ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
শনিবার ৪ তারিখে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠো ফোনে জানানো হয়, হাটের ভিতর যাতে গরু জবাহ না হয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়।