বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার একটি বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ লেবু মিয়া ফকির (৫৫) নামে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। সে গাবতলী পুর্বপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল ফকিরের ছেলে। সোমবার (১৯ ফেব্রুশারী) দুপুর ১২ টায় গাবতলী মডেল থানা চত্বরে নিয়াজ মেহেদী সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানিয়েছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলাহয়, গাবতলী মডেল থানার একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টায় গাবতলী পৌরসভার পুর্বপাড়া গ্রামে লেবু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও লেবু মিয়াকে একটি তক্ষক বন্যপ্রাণী সহ আটক করে। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন সন্তোষ জনক জবাব ও বৈধ কোন প্রমানাদি দেখাতে না পারায়, তক্ষকসহ তাকে আটক করে থানায় আনাহয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলাহয়, লেবু মিয়া সে কোন এক চোরাচালান চক্রের হোতা, তারসাথে আরো সদস্য রয়েছে। তক্ষক রাখার প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদি না রেখে, বিপন্ন প্রজাতীর এই বন্যপ্রাণী নিজের হেফাজতে রাখায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ ৩৪(খ) ধারায় দন্ডিয় অপরাধ করেছেন তিনি। এই ধারায় ২ এর তালিকায় বলা আছে, তক্ষক একটি বিপন্ন প্রজাতীর প্রানি। উদ্ধারকৃত তক্ষকটির ওজন ২০০ গ্রাম, লম্বা ১১ ইঞ্চি, দাম প্রায় ১ কোটি টাকা। তক্ষক দিয়ে প্রাচিন আয়ুর্বেদিক ও আধুনিক চিকিৎসার, হাঁপানি, এইডস ও ক্যান্সার ওষুধ আবিষ্কারের জন্য নিশেষ করে চীনে তক্ষকের ব্যপক চাহিদা রয়েছে বলে জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিং চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, গাবতলী মডেল থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ওসি তদন্ত আবদুস শুকুর, এস আই সুজল কুমাটসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা প্রমুখ। শেষে বগুড়ার শেরপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গাবতলী বন বিভাগে (অঃদাঃ) হারুনুর রশিদ তক্ষকটি গ্রহন করেন। এ সময় তারসাথে ধুনটের বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তক্ষকটি গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, তক্ষকটির জন্য তিনি নিরাপদ কোন স্থানে ছেড়ে দেয়ার উদ্যেগ নিবেন। এখানে সে রকম ব্যবস্থা না থাকলে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে, বন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন।