পাবনার সুজানগরের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ওষুধ ব্যবসায়ীদের ড্রাগ লাইসেন্স নেই। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই তারা বছরের পর বছর ওষুধ ব্যবসায়ী চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, সুজানগর পৌর শহরসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে কমপক্ষে ১হাজার ওষুধের দোকান রয়েছে। ওই সকল দোকানের মধ্যে কেবল পৌর শহরের ব্যবসায়ীদের ড্রাগ লাইসেন্স আছে। এর বাইরে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ দোকানের কোন লাইসেন্স নেই। এদের মধ্যে ২/৪জনের লাইসেন্স থাকলেও তারা নবায়ন করান না। লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই তারা মাসের পর মাস অবৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য ওষুধ ব্যবসায়ীদের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন ড্রাগ লাইসেন্স না থাকার জন্য ওষুধ ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়। তারা বছরের পর বছর ড্রাগ লাইসেন্স’র জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার পরও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। এমনকি তাদের এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছেনা। ফলে গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র ওষুধ ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধের ব্যবসা করছেন। এ ব্যাপারে জানতে জেলা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সৈকত কুমারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।