পাবনার সুজানগরে অবৈধ বালু উত্তোলন মামলার আসামীদের বাঁচাতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি মামলার বাদী সুজানগর পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে একটি প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী চক্র পদ্মা নদীর সুজানগর চরভবানীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে করে আসছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারী বুধবার সুজানগর পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ বাবুল আখতার ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই সকল বালু ব্যবসায়ীদের ধরতে পদ্মা নদীর চরভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বালু ব্যবসায়ী চক্র অভিযানের বিষয় টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাবুল আখতার স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওই সকল বালু ব্যবসায়ীদের নাম সংগ্রহ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সুজানগর থানায় মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে ১২জন বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয় তাদের মধ্যে কাদের মন্ডল নামে এক ব্যক্তি মৃত। তবে এলাকাবাসী জানান, তিনি জীবিত থাকালে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। আর সেকাণে এলাকাবাসী অজ্ঞাত কারণে ওই ব্যক্তির নাম ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাবুল আখতারের কাছে দেন। অবশ্য মামলার বাদী বাবুল আখতার পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরে মামলা থেকে মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রত্যাহার করতে থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন বরাবর আরেকটি আবেদন করেছেন। কিন্তু এর পরও একটি মহল এলাকাবাসীর দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে মৃত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়কে পুঁজি করে মামলার অন্যান্য আসামীদেরকেও নির্দোষ প্রমাণিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে মামলার বাদী বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষ করে ষড়যন্ত্রকারীরা বাবুল অখতার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মামলা দায়ের করেছে বলে লোকমুখে বলে বেড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে কুৎসা রটনা করছে। এ ব্যাপারে পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাবুল আখতার বলেন এলাকাবাসীর দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে মৃত কাদের মন্ডলের নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও পরবর্তীতে এজাহার থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রকৃত বালু ব্যবসায়ী। থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন কোন মামলার এফআইআর-এ (ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) মৃত ব্যক্তি বা নিরপরাধ ব্যক্তির নাম থাকতেই পারে। মামলা তদন্তকালে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন স্থানীয় লোকজনের দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার বাদী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাবুল আখতার এজাহারে একজন মৃত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে পরবর্তীতে সে ওই ব্যক্তির নাম এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আবেদন করেছে।