সরকারের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা প্রদান করেছেন স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ী। তাদের বাঁধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। বাঁধা প্রদান করা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের রেকর্ডিয় জমির স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে আসলে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া এ জমির একটি অংশের মালিক সরকারের প্রভাবশালী (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-১২ জাজরীন নাহার পপি) এক নারী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করা ব্যবসায়ীদের তাদের কাগজপত্র নিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে তারা কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে পূর্ণরায় সরকারি ওই জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অঞ্জন রায় বলেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে মহাসড়কের দুইপাশ থেকে তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। নিয়মিত রুটিনের অংশ হিসেবে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ যৌথভাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহীদ উল্লাহ, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, অভিযানের একপর্যায়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় নবনির্মিত পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনের কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়ো হয়ে ওই জমি তাদের রেকর্ডিয় দাবি করে অভিযান পরিচালনায় বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বাঁধা প্রদান করা ব্যবসায়ীদের তাদের কাগজপত্র নিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর কতিপয় ব্যবসায়ীদের বাঁধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হলেও পরবর্তীতে মহাসড়কের দুই পাশের বিভিন্নস্থানে সরকারি জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করার মাধ্যমে নির্বিঘেœ যান চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা।