রাজশাহীর তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এক কসাইকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে রাত দেড়টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নে নিহতের বাড়ি বিলশহর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তালন্দ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান মেম্বারের স্ত্রী সুমি খাতুনসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে, ঘটনার পর থেকে হাসান মেম্বার গাঢাকা দিয়েছেন। তার বাড়ি তালন্দ ইউপির লালপুর গ্রামে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম জিয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি মেডিকেল মোড়ে দুলালের কসাইখানায় গোস্ত কাটা কাজ করেন। তার পিতার নাম মৃত মহর আলী। উপজেলার তালন্দ ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠকর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী। গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির মেয়ে সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন হাসান মেম্বার। এরআগে থেকেই সুমি খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত জিয়ারুল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে সতর্ক করে। পরে ডিপের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। নির্বাচনের পরে হাসান মেম্বারের সার বিষের দোকানে আগুন দেয় কে-বা কারা। এনিয়ে মামলাও করে হাসান মেম্বার। পরে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে মঙ্গলবার কসাই জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, জিয়ারুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকা-ের তদন্ত শুরু করেছে। আর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।