মহান শহিদ দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ভুল করেছেন। নতুন নিয়মের ধারে কাছেও যাননি কেউ। অনেকেই পুরাতন নিয়মে অর্ধনমিত করে দায়সারা উত্তোলন করেছেন। আবার কতিপয় প্রতিষ্ঠান কোন রকমে পূর্ণাঙ্গ ভারে উত্তোলন করেছেন। শহিদ দিবসের দিন সকাল বেলা সরকারি একাধিক দপ্তরেও পুরাতন নিয়মে উত্তোলনের পর তড়িৎ সংশোধন করে নিয়েছেন। পতাকা উত্তোলন না করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এতদিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পতাকার প্রস্থের মাপে নীচে নামিয়ে অর্ধনমিত করে উত্তোলন করে আসছেন। অর্থাৎ খুঁটির উপরের মাথা থেকে পতাকার প্রস্থের মাপের নীচের অংশে পতাকার উপরের ফিতাটি বাঁধতে হবে। পরে টান দিয়ে খুঁটির নীচে যতটুকু যায় (এক চতুর্থাংশ) পরিমাণ মত জায়গায় বাঁধতে হবে। দিবসটি উৎযাপনের সভায় পতাকার বিষয়টি সকলের উদ্যেশ্যে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি স্বস্ব এলাকায় আলোচনা করে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মহান দিবসে দেখা গেছে সরাইলের ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে রেখেছেন পুরাতন নিয়মে। চোখে পড়ে পূর্ণাঙ্গ ভাবে উত্তোলনের চিত্রও। কিন্তু পতাকা উত্তোলন সরজমিনে ঘুরে দেখার কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠছে না। জানতে চাইলে অনেকেই বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ কেউ একটু ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, একভাবে উত্তোলন করলেই হলো। যারা একেবারে উত্তোলনই করেন না। তারাই তো ভাল আছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, আগের (পুরাতন) নিয়মে পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। নতুন নিয়মে খুঁটির এক চতুর্থাংশে পতাকার ফিতা বাঁধতে হবে। বিষয়টি তো আমরা সভায় আলোচনা করেছি। জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ব্যাপক প্রচার করতেও বলেছি। তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখছি।