চলমান ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়েছে পাকা সড়কে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে তৈরি হয়েছে কাঁদা। দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার লোকজন। কালীগঞ্জ শহর থেকে নলডাঙ্গা সড়কে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, কালীগঞ্জ বাজার থেকে নলডাঙ্গা সড়কের ইট ভাটায় মাটি আনার সময় ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ছে রাস্তায়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ও যানবাহন। এ ছাড়া কাদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। একের পর এক দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটর সাইকেল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে কয়েক দফা হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সড়কে একাধিক মোটর সাইকেল কাদায় পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এ সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে নিম্নগতিতে কয়েকজনকে মোটর সাইকেল চালাতে দেখা গেছে। কাদায় সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন। বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করেছে স্থানীয় কিছু মহল। মাটি নেয়ার জন্য সড়ক দিয়ে দিনরাত চলাচল করে ট্রাক্টর ও ট্রলি। পরিবহনের সময় মাটি পড়ে সড়কে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে পিচ্ছিল কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সড়কে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। সড়কে মাটি পড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন স্থানীয় সাংবাদিক আহসান কবির। তিনি বলেন, ইটভাটার মাটি পড়ে রাস্তা বেহাল হচ্ছে। পাকা রাস্তা এখন কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। চলাচলকারি অনেকেই বলেন, মাটির ট্রাক্টের জন্য বিপদে আছি। এখন কাদার মধ্যে আছাড় খেতে হচ্ছে। ইটভাটার লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টর রাস্তায় চললে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা কিছুই বলে না। এ গাড়িগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া কালীগঞ্জের অনেক ইটভাটা রয়েছে মাটি রাখার কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। বড় গাড়ি আসলে সাইড দেওয়া যায় না। ইটভার মাটি রাখার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে কেয়াবাগান, রঘুনাথপুর, ঈশ^রবা, তালেশ^র, ছালাভরা, কোলাসড়কসহ একাধিক সড়কের এমন অবস্থা। কালীগঞ্জ কোটচাদপুর সড়কের ঈশ^রবা, পাতবিলা, তালেশ^র নামক স্থানে পাকা রাস্তা হলেও দেখে বোঝার কোন উপায় থাকে না এগুলো পাকা সড়ক। ইটভাটার ট্রাকে-ট্রলিতে করে ইটভাটায় নেওয়া মাটি পড়ে সড়কটি বেহাল অবস্থা। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল একেবারেই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে মোটর সাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা। সড়কটি ২৪ ঘন্টা ব্যাস্ত থাকে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক গুলোর এখন একই দশা। কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে সড়ক গুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হাঁটা পথে যেতেও চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় চলাচল করার সময় এসব যানবাহন থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইটভাটার ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে এসব সড়কে এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক সময় বাস- ট্রাক ও ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। কাদায় স্লিপ কেটে দূর্ঘটনার ভয়ে ব্রেক করে আস্তে আস্তে পার হয়ে থাকে। ইটভাটার সামনে দিয়ে অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করে থাকে। ভ্যান, রিকসা, মটর সাইকেল তো সব সময় চলাচল করে থাকে।