আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম, নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে ৫০ শয্যার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩শ শয্যায় উন্নীত করা। গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাঃ শাফিয়ে আলম তুলতুল এর সঞ্চালনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনজুর-এ-এলাহী, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সানজিদা আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। আখতারউজ্জামান আরো বলেন, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম, নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে ৫০ শয্যার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩শ শয্যায় উন্নীত করা। আমি সংসদে বলেছি। তা কর্যকরী করতে হলে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। কালীগঞ্জবাসী যেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে আরো ভালো চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে দ্রুত সমাধান করা হবে। কালীগঞ্জের মেহনতি মানুষের দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি হলো শ্রমিকদের টাকায় কালীগঞ্জ সরকারী শ্রমিক কলেজ। যার জমি কিনা থেকে শুরু করে সবই শ্রমিকদের টাকায় হয়েছে। অন্যটি নাগরী ক্রেডিট ইউনিয়নের অর্থায়নে ৩শ শয্যার ডি ভাইন মার্সি হাসপাতাল। থানার অফিসার ইনচার্জকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একটি তারিখ করে আপনার সকল অফিসারদের নিয়ে বসেন। সেখানে তাদের কি সমস্যা আছে তা শুনে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার গাড়ীর বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন থানার জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করবেন। পরে তিনি সভা শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শণ করেন। এ সময় ইউএনও, ওসিসহ হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।