চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে থানা পুলিশের অভিযানে ২৩ ভরি স্বর্ন ও ৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মাদক ব্যবসায়ীর একটি চক্র পিকাপ গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো ন ২১-০৮১৮ যোগে ফেনী জেলা হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেন পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবু সাঈদ, এসআই মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, থানার অন্যান্য অফিসার ফোর্স। অভিযানে দুইটি টিমে বিভক্ত হয়ে দ্ইুটি স্থানে অবস্থান করে। অপর একটি টিম ভাটিয়ারী বাসস্ট্যান্ডে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করেন। শনিবার দিবাগত রাত দুই টায় পিকাপ গাড়িটি চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছলে এসআই মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন গাড়িটি থামার সংকেত দেন। কিন্তু গাড়িতে থাকা ০৪ জন আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িটি নিয়ে দ্রুত ও বেপোরোয়া গতিতে চালিয়ে অস্থায়ী চেকপোষ্ট অতিক্রম করে। তখন ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য গাড়িটি লক্ষ্য করে ছুটে। গাড়িটি শাহ আমানত ফিলিং স্টেশন এর দক্ষিন দিকের ইউটার্ন দিয়ে ঢাকামূখী রাস্তা হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ঘটনাস্থল সীতাকুন্ড মডেল থানাধীন ভাটিয়ারী শাহ আমানত ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে “মায়ের দোয়া স্যানিটারী” নামে দোকানের সামনে থাকা পুরাতন স্যানিটারী মালামালের উপর উঠে পড়ে। এ সময় মোঃ হানিফ, শেখ সাদ্দাম, মোঃ রাসেল ফকির(৩৬), মোঃ মিজান শেখ(৩২), মোঃ সাগর শেখকে (২৮), আটক করেন ও আসামীদের সাথে থাকা পিকআপ থেকে ৯৮ কেজি গাঁজা জব্দ করে। এই ঘটনায় সীতাকুন্ড মডেল থানার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয় ও আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ করা হয়। এছাড়াও অপর একটি ঘটনায় আবদুল খালেকের ১২ টি স্বর্নের চুরি ও ০১টি স্বর্নের বার সহ সর্বমোট ওজন ২৩ ভরি স্বর্নালংকার উদ্ধার করা হয়।