রাজশাহী পুঠিয়ায় বিভিন্ন সড়কে পুকুর খননের মাটি ফেলে রাখায়। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে যানবহন এবং মানুষদের যাতায়াত করতে হচ্ছে ঝুকি নিয়ে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। গত দুইদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়কে এলাকার মানুষ এবং যানবাহনগুলি ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়কটির ধোকড়াকুল বাজার হতে বাসুপাড়া বাজার পর্যন্ত অবৈধ পুকুর খননকারীরা কাঁদামাটি ফেলে রাখেন। এরপর জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া সড়ক,মোল্লাপাড়া হতে বাসুপাড়া সড়কসহ উপজেলার কয়েকটি পাড়া সড়ক এখন অবৈধ পুকুর খননকারীরা মাটি ফেলে যানবহন চলাচল এবং মানুষের যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে এলাকার মানুষ এবং সড়কের যানবাহনগুলি ব্যাপক ঝুকি নিযে যাতায়াত করছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। ধোকড়াকুল এলাকার আবুল হোসেন বলেন,উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলী জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। প্রশাসন যানে উপজেলার কোথায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুর খননের মাটি ট্রাক্টার ও দশ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহন করতে গিয়ে। এলাকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করা গ্রামীণ সড়কগুলো পুকুর খননকারী নষ্ট করে ফেলছেন। বাসুপাড়া এলাকার সিয়াব উদ্দিন বলেন,আমরা পুকুর খননকারীদের নিকটে জিম্মি হয়ে পড়েছি। কারণ এদের সঙ্গে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক কিছু ধান্ধাবাজ নেতা রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাহেরপুর সড়কে যাত্রীবাহি বাস কিংবা কোনো যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে কোনো বড় রকমের দুঘর্টনা ঘটলে এর দায় কে নিবেন। মোখিক ভাবে প্রশাসনকে বলার পরও তারা তড়িত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। মোল্লাপাড়া হাটের সেলিম হোসেন বলেন, থানা পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে দিনে পুকুর খনন বন্ধ করে, রাতের আধাঁরে বেশিরভাগ পুকুর খরর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, কোথায় সড়কে মাটি ফেলা হয়েছে। তা আমাকে সঠিক তথ্য দেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন,আমরা প্রায় দিনই অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা করছি। আর কেউ পাকা সড়কে মাটি ফেলে সড়ক নষ্ট করে থাকে,তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।