ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত বৈধ ফার্মেসি ছাড়া যেকোনো ধরনের ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলেও প্রাণী সম্পদ অফিসে চাকুরী করার সুবাদে অসীম হীরা নামের কথিত এক চিকিৎসক তার দোকানে অবৈধ ভাবে বিক্রি করছেন, মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, সেকলো, রেনিটিডিন, টেস্টি স্যালাইন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, যৌন উত্তেজক ও শক্তিবর্ধক বড়ি। পাশাপাশি রেখেছেন, আয়ুর্বেদ, ইউনানি, হারবালসহ হাঁস মুরগী, গরু,ছাগল ও মাছের ওষুধ। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়গুণি পাগলা বাজারে দেখা মিললো অসীম হীরা নামের এই আজব চিকিৎসকের ওষুধের প্রতিষ্ঠান। সাইন বোর্ড ব্যতিত এই চিকিৎসক মোল্লাহাট উপজেলার বৈরম নগর গ্রামের অবিনাশ হীরার ছেলে। তিনি মোল্লাহাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে কর্মরত বলে জানা গেছে। এখানে রোগীরা রোগের কথা বলা মাত্রই ওষুধ দিয়ে টাকা নেন। তিনি কি ওষুধ প্রশাসনের বিধিমতে বৈধ ব্যবসা ও চিকিৎসা করছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে কথিত ওই চিকিৎসক দ্রুত দোকানের ঝাপ লাগিয়ে শটকে পড়েন। স্থানীয় বড়গুণি ও আশপাশের বাজার গুলোতে এধরনের বেশ কিছু অবৈধ ওষুধের দোকান রয়েছে। ওষুধ কিনতে আসা স্থানীয় এসএম ওবায়দুল্লাহ বাচ্চু বলেন, এ দোকানে মানুষ, গরু-ছাগল ও মাছের ওষুধ পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় দিন দিন ভুঁয়া চিকিৎসকের দৌরত্ম বাড়ছে। এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হসান জানান, কোন ব্যক্তি বৈধ লাইসেন্স নিয়ে একটি ওষুধের দোকান দিতে পারবে, তবে তাকে এ্যলোপ্যাথিক ওষুধের বেলায় তাকে ফার্মাসিষ্ট ট্রেনিং প্রাপ্ত কাগজ থাকতে হবে।