বাগেরহাটে শরণখোলায় আজ মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষিই সমৃদ্ধ এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মেলা চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার। উপ-সহকারী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: মোস্তফা মশিউল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান স্বপন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: আব্দুল হাই, প্রকল্প কর্মকর্তা মো:আমিরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মেদ, কে.আর. বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা তৈয়ব আলী। এনজিও সমৃদ্ধ কৃষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের প্রত্যাশা কৃষকরা শিক্ষিত এবং দক্ষ হলে আমাদের উৎপাদন দিগুন থেকে ৫গুণ হবে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে মানুষ ছিল সাড়ে সাত কোটি। তখন মানুষ না খেয়ে থাকতো। একই ভূখন্ডে এখন মানুষ ১৭ কোটি হলেও এখন না খেয়ে থাকতে হয় না। এই অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে কৃষি প্রযুক্তি এবং দক্ষ কৃষকের কারণে। শিক্ষিত যুব সমাজ এগিয়ে আসলে আগামীতে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। দক্ষ কৃষকের দ্বারা কৃষির মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। পাশাপাশি শিক্ষিত যুবকরা আরও এগিয়ে আসলে আগামীতে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে কৃষি উন্নয়নে বড় ধরনের অবধান রাখবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, অঞ্চল ভিত্তিক প্রকল্পে ২১টি প্রযুক্তি রয়েছে। যার মধ্যে শরণখোলায় ১০ টি প্রকল্পের কাজ চলছে। জাতির জনকের উক্তি ছিল কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। কৃষি বিভাগের এ প্রযুক্তি আপনারা যেভাবে আন্তরিক ভাবে গ্রহন করেছেন, তেমনি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে বাচিয়ে রাখতে হলে প্রচীন পদ্ধতিতে নয়, আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যে নিজেকে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এই কৃষি মেলায় ১১টি স্টল রয়েছে। স্টলে আকর্ষণীয় কৃষি পন্য স্থান পায়। যা দেখতে অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণি পেশাদার নারী পুরুষ ভীড় করে। বিকালে কৃষি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবাহী অফিসার, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।