গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি’র আইডি ভুক্ত বিভিন্ন সংযোগ সড়কে নড়োবড়ো ১৮টি বাঁশের সাঁকো স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা ৫ ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে চলমান উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক গুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮টি নড়োবড়ে বাঁশের সাঁকো। ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে বেলকা, তারাপুর, হরিপুর, ধোপাডাঙ্গা ও রামজীবন। লক্ষ্য করা গেছে ঐ সকল ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের হাজারো সাধারণ মানুষ, রোগী, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো গুলো পাড়ি দিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংযোগ সড়কগুলোর স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘ দিনের দাবী ঐ অঞ্চলের মানুষের। কিন্তু তাদের দাবী বাস্তবায়নের লক্ষণ তারা পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন। ঐ সকল অঞ্চলের আমিনুল, খলিল, মাসুম ও রোকেয়া বেগমসহ অসংখ্য মানুষ জানান, সাঁকো স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় আমরা কৃষি পন্য থেকে শুরু করে উৎপাদিত অন্যান্য ফসল বহন করতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। অসংখ্য কোমলমতি শিক্ষার্থী নড়োবড়ে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারছেন না। জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা শহর সহ জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরে নিতে পারি না। জাতীয় নির্বাচন আসলে নেতারা সাঁকো স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হলে আর খোজ রাখেন না। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ,আমিনুল ইসলাম, মোজাহারুল ইসলাম, মোকলেছুর মন্ডল ও শামছুল হুদা জানান, আমরা সাঁকো স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোন সাড়া পায়নি। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, এপর্যন্ত আইডি ভুক্ত ১০টি সংযোগ সড়কে অবস্থিত বাঁশের সাঁকোর স্থলে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।