গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ছিড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের কাজ দীর্ঘ ৭ বছর থেকে বন্ধ থাকায় শ্রেণি কক্ষের অভাবে পাঠদান চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকায় ২৭২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বর্তমান ভবনের উপরে দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ মেলে। দ্বিতল ভবনটির নির্মাণ কাজের জন্য মেসার্স ফাতেমা ট্রেডার্স প্রোপ্রাইটর আবু বক্কর সিদ্দিক নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং দ্বিতল ভবনের ছাদ পর্যন্ত ঢালাই শেষ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এতে করে বর্তমানে বিদ্যালয়টির ২টি মাত্র কক্ষ টু-ইন ওয়ান ক্লাশ হিসেবে ব্যবহার করে ২৭২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। এতে করে শ্রেণি পাঠদান চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে লেখা পড়ার মান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন সরকার জানান, ভবনটির কাজ বন্ধ থাকায় চুরি হচ্ছে ছাদের রডসহ ইট। মাত্র ২টি কক্ষই ব্যবহার হচ্ছে পাঠদানে। প্রায়শই দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ২ শিফটে ৬ শিক্ষক পাঠদান করলেও এক কক্ষেই একই সাথে ২ শ্রেনির পাঠদান করতে গিয়ে পড়ালেখার মান কেমন হয় তা সহজে অনুমেয়। তিনি দ্বিতল ভবনের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার আবেদন নিবেদন করেও সমাধান খুজে পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।