জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় বেশ কয়েকদিন থেকে গরু চুরির হিরিক পরেছে। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস গবাদি পশু চোরদের হাত থেকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘরে রাত কাটাচ্ছেন খামারী ও গৃহস্তরা। অবশেষে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আগৈলঝাড়ার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সম্রাট বিশ্বাসের গোয়াল থেকে বিদেশী জাতের একটি গাভী সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করে পিকাপভ্যানে উঠানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে এক চোরকে আটক করেছে। পরবর্তীতে ওই চোরকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। এসময় আটক চোরের অন্যান্য সহযোগিরা পিকআপভ্যানযোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। আটক চোর টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলার জোগারচর গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলী ছেলে রাসেল ভূঁইয়া (৪০)। আটক রাসেল জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন থেকে সাভার এলাকায় বসবাস করে আসছেন। গত কয়েকদিন পূর্বে গৌরনদী উপজেলার শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা সাতজনের একটি দল রাতের আধারে বিভিন্ন বাড়ি থেকে গরু চুরি করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একইরাতে ওই গ্রামের জগদীশ হালদারের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু চুরি করতে ব্যর্থ হয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। তবে একইরাতে রাজিহার গ্রামের স্বপন হালদারের দুইটি, পাশ্ববর্তী গোপাল মন্ডলের একটি গাভী ও দুইটি ষাড় গরু চুরি হয়েছে। এছাড়া গত ১০ দিনে আগৈলঝাড়ার পাকুরিতা গ্রামের নিধান মন্ডলের একটি, আহুতিবাটরা গ্রামের উত্তম মজুমদারের দুইটি গাভী, বারপাইকা গ্রামের বিশনু বাড়ৈর দুইটি, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম ফরিয়ায় তিনটি, ভালুকশী গ্রামের আজাহার হাওলাদারের একটি গাভী, রামশীল জয়ধর বাড়ি থেকে দুইটি বিদেশী জাতের গাভী ও মোল্লাপাড়া গ্রামের সুধীর হালদারের একটি গাভী চুরি করে নিয়েছে সংঘব্ধ চোরের দল। উপায়অন্তুর না পেয়ে গৃহস্তরা এখন বাধ্য হয়ে গোয়াল ঘরেই রাত্রিযাপন শুরু করেছেন। সার্বিক বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, আটক চোর রাসেল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আটক চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।