নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন থেকে ওই ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। তার সাথে খানাখন্দে ভরে গেছে মহল্লার ছোট বড় রাস্তাগুলো। রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে ওই ওয়ার্ডে। ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে ছোট বড় যানবাহন তো দুরের কথা মানুষ পায়ে হেঁটে যেতে পারছেন না। বিভিন্ন যানবাহনের চাকা নষ্ট হচ্ছে ওই সকল রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারণে। এদিকে দীর্ঘদিন ড্রেন পরিস্কার না করায় তা ময়লা আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ড্রেনের পানি এখন রাস্তায় জমে আছে। রাস্তায় জমা ড্রেনের পানি রাতের বেলা একটু কমলেও দিনের বেলায় বাড়ছে। আর এ কারণে ওই পথ দিয়ে মসজিদের মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারে না। কোন কোন সময় পানি বাসা বাড়ীতে চলে আসে। জমানো পানিতে জন্ম নিচ্ছে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের পোকা। ওই পোকা পানি থেকে আবার কারো বিছানা পর্যন্ত যাচ্ছে। বাসার শিশুরা পোকা দেখে ভয় পাচ্ছে। গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা খালিদ খান জানান, এ অবস্থা প্রায় কয়েক মাস থেকে চলে আসছে। আমরা মহল্লাবাসি বিষয়টি পৌর কাউন্সিলর কাজী মনোয়ার হোসেন হায়দারকে বলার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর সাথে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। বর্তমানে আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। বাসার শিশুরা ঘরের বাইরে বের হতে পারে না। দরজা পর্যন্ত ড্রেনের দুর্গন্ধময় ময়লা পানি। ঘরের মধ্যে খাবার খেতেও রুচি কাজ করে না। সম্প্রতি রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের দাবি নিয়ে আমরা মহল্লাবাসি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। অথচ আমরা পৌর কর ও ট্যাক্স সবেই দিয়ে আসছি কিন্তু পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ ব্যপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন সময় হলে কাজ করা হবে। তবে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন সকল ওয়ার্ডের কাজ চলমান। ওই ওয়ার্ডের সমস্যাও দ্রুত সময়ে সমাধান করা হবে।