নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ৩নং ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউনুস ডিলার বাড়িতে সেফটিক ট্রাঙ্কের জন্য খুড়া একটি মাটি গর্তে আটকা পড়া বিরল প্রজাতির (বিলুপ্ত-প্রায়) দুইটি গন্ধগোকুলকে ১২ঘন্টা পর উদ্ধার করে স্থানীয় একটি কবরস্থানের জঙ্গলে অবমুক্ত করেছে সেনবাগ উপজেলা বনবিভাগ। শনিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা বন কর্মকতা সামছুউদ্দিনের উপস্থিতিতে ওই গন্ধগোকুল দুইটিকে অবমুক্ত করা হয়। জানাগেছে, উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া ইউনুস ডিলারের বাড়ির মোঃ মিজানুর রহমান তার বসতঘরের পাশ্বে সিপটিক ট্যাঙ্ক নির্মানের জন্য একটির গর্ত খুড়ে। এরপর শনিবার রাতের কোন এক সময় বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল যার ইংরেজি নামতে (Asian palm civet; বৈজ্ঞানিক নাম Paradoxurus hermaphroditus)গন্ধগোকুল এবং স্থানীয় ভাষায় বাগডাস, তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা ,সাইরেল বা গাছ খাটাশ নামে পরিচিত ওই প্রাণী দুইটি গর্তে পড়ে আটকে যায়। এরপর সকালে বাড়ির লোকজন প্রানী দুইটিকে দেখে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ ফারুক হোসেনের মাধ্যমে বন বিভাগে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা বন কর্মকতা সামছুউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল স্থানীয়দের সহযোগীতায় ১২ঘন্টা পর দুপুর ২টাদিক গন্ধগোকুল দুইটি উদ্ধার করে স্থানীয় কবরস্থানের জঙ্গলে অবমুক্ত করে এসময় উদ্ধার ও প্রাণী দুইটিকে এক নজর দেখতে ওই স্থানে বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়। উপজেলা বন কর্মকর্তা সামছুউদ্দিন জানান, গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। এটি পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গলে বসবাস করে। এগুলির খাদ্য তালিকায় রয়েছে, গৃহপালিত হাঁস-মুরগি, কবুতর, পাখি, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ও পোকামাকড় শিকার করে।