জামালপুরের মেলান্দহে গৃহবধূ নিশি আক্তার (২০)কে গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃতরা হলো দেবর সাহাব উদ্দিন (২৫) এবং তার স্ত্রী লিয়া আক্তার (২৮)। ২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে সরিষাবাড়ির ভাটারা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। র্যাব-১৪’র সিপিসি ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক জুলফিকার আলী প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। জানা গেছে, জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে নিশি আক্তারকে বিয়ে করেন, একই গ্রামের আশেক আলীর ছেলে আল আমিন। বিয়ের পর আল আমিনকে মোটরসাইকেল, পণ্য-সামগ্রীও প্রদান করা হয়। বিয়ের কিছুদিন পর নিশি আক্তারের স্বামীর ভাই সাহাব উদ্দিন এবং ভাবী লিয়া আক্তারের কুপরামর্শে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকদফা দেন-দরবারের একপর্যায়ে ৩/৪ মাস আগে জামালপুর শহরের ভাড়াটে বাসায় অবস্থান নেয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে মারধর শেষে মুখ বেঁধে গরম পানি ছিটিয়ে শরীর ঝলসে দেয়। বিষয়টি বাইরে জানাজানি হবার ভয়ে ভাড়াটে বাসাতেই গোপনে চিকিৎসা দিলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। অবস্থা বেগতিক দেখে গৃহবধূকে ২৫ ফেব্রুয়ারি গোপনে শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে। অন্য লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিশি আক্তারের স্বজনরা ওই ক্লিনিকে আসেন। এ মতাবস্থায় নিশিকে প্রাইভেট ক্লিনিকে রেখেই স্বামী আল আমিন গা ঢাকা দিলে হইচই শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই গৃহবধূকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।