দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার উত্তরে পুর্নভর্বা নদীর দক্ষিন দিকে অবস্থিত বলেয়া উচ্চ বিদ্যালয়। জানা যায় স্কুলটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার বিত্তশালিরা সেই সময় স্কুলটি তৈরী করেন। সেই সময় হতে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুলটিতে শিক্ষাগ্রহন করে। কালের বিবত্তনে এবং এলাকার লোকের অসহযোগীতার ও ম্যানেজিং কমিটির দ¦ন্দের কারনে সচেতন অভিভাবকেরা তাদের কোমল মতি শিক্ষার্থীদের এই স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন না নিজ নিজ ছেলে-মেয়েদের। বতর্মানে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৬০জন শিক্ষার্থী। চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে ১২জন শিক্ষার্থী ৬ষ্ট শ্রেনীতে ভর্তি হয়। গতকাল বলেয়া দ্বি মুখি উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ট শ্রেনীতে ৪জন সপ্তম শ্রেণীতে ৭জন ৮ম শ্রেণীতে ৪ জন ৯ম শ্রেণীতে ২ জন ও ১০ম শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ক্লাসে ক্লাস করতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম এই তথ্যটি তিনি নিজেই ক্লাসে গিয়ে দিয়েছেন এবং এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। কাশিপুর গ্রামের নাম প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, স্কুলের পরিবেশ ভাল নেই, শিক্ষকেরা রীতিমতো ক্লাস করান না প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের সঙ্গে দীর্ঘ দিন মামলা থাকার কারনে অভিভাবকেরার তাদের সন্তানদের স্কুলে দেন না। তারা পাশ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলে তাদের সন্তানদের ভর্তি করিয়েছেন। বলেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ বার জন শিক্ষক রয়েছেন। অন্যান্য স্টাফও রয়েছে আরও ৩জন। এলাকার অভিভাবকগণ বলছেন, বলেয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যার কারনে স্কুলে শিক্ষার্থী দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবকেরা মনে করছেন, এই ভাবে চলতে থাকলে স্কুলটি শিক্ষার্থী ভর্তি শূন্যের কোঠায় চলে যাবে। এব্যাপারে গতকাল রবিবার দুপুরে বলেয়া উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথের সঙ্গে মোবাইলে আমাদের প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, আমি এখন দূরে আছি এ বিষয়ে পরে কথা হবে। প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে আমরা শিক্ষকগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি ভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলে বেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবো।