প্রেসক্লাবের দ্বন্ধে কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় গুরুত্বর আহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে সাংবাদিকদের মাঝে দ্বন্ধ, সংঘাত, অনৈক্য মেটাতে দেশের সংগঠন সমুুহের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বিএমএসএফ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ আবু জাফর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, গণমাধ্যম বিরোধী একটি চক্র প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সাংবাদিকদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে রেখেছে। এমনকি রাজনৈতিক পদ পদবীধারিরা নামেমাত্র সাংবাদিকতার তমকা লাগিয়ে বরগুনার মত দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিক সংগঠন সমুুহের মাঝে চরম অনৈক্য বিরাজ করেছে। যে কারণে দেশের অনেক জেলার সাংবাদিক সংগঠনে তালা ঝুলছে, রয়েছে সংঘাত, হিংস্রতাসহ একাধিক কমিটি। পেশার স্বার্থে এহেন পরিস্থিতি থেকে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে নিস্তার জরুরী হয়ে পরেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। আর এই পেশার মাঝে এমন বিবেক বর্জিত পরিস্থিতি মোটেও কাম্য নয়। উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের একাধিক সাংবাদিক আহত হন। গুরুত্বর আহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদকে প্রেসক্লাবের একটি কক্ষে আটক করে রাখার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুত্বর আহত তালুকদার মাসউদ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ও বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি আব্দুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে।