দিঘলিয়ায় নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাঝে অদৃশ্য ভুতের থাবা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, বিধবা নারী ও বয়ষ্ক নর-নারীরা হ্যাকের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। মোবাইল থেকে হ্যাক হয়ে যাচ্ছে তাদের প্রাপ্ত সকল প্রকার ভাতার টাকা। দিঘলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীমহল সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, বিধবা মহিলারা ও বয়ষ্ক নর-নারী তিন মাস অন্তর ভাতার টাকা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধমে মোবাইলে পেয়ে থাকে। দিঘলিয়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থীর বেনিফিশিয়ারী, ৪হাজার ৫ জন নারী বিধবা ভাতা ভোগী, বয়ষ্ক ভাতা ভোগী নারী ও পুরুষ ৬ হাজার ৯০১ জন, প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী ২ হাজার ৭৬১ জন, প্রতিবন্ধী শিক্ষা বৃত্তি ভোগী ৪২ জন, অনগ্রসর বিশেষ ভাতা ভোগী ৫৩ জন ও অনগ্রসর শিক্ষা বৃত্তি ৫২ জন নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোবাইলে ৩ মাস পর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রাপ্ত টাকা পেয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে শোনা যাচ্ছে উক্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে নানা কৌশলে নগদের একাউন্ড হোল্ডারদের গ্রাহকদের নিজ নিজ ব্যবহৃত কোড সংগ্রহ করে মোবাইল থেকে টাকা হ্যাক করে নিয়ে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে থাকা এক শ্রেণির হ্যাকাররা। কেউ থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সফল হচ্ছে, কেউবা মনের কষ্ট মনের মাঝে চেপে রেখে পরবর্তী কিস্তি ঠিক রাখার জন্য নতুন সিম সংগ্রহ করে নগদ একাউন্ট করে জমা দিচ্ছে এমনটা জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। কিন্তু হ্যাকারদের ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বেনিফিশারীদেরসহ বিভিন্ন ভাতাভোগীরা যারা হ্যাকারের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে তাদের প্রতিকারের ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়ার ভুক্তভোগীমহল। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ প্রতিবেদককে জানান, কোমলমতি শিশুদের টাকা হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত শুধু অভিযোগ শুনেই চলেছি। প্রতিকার আমাদের নাগালের বাইরে বিধায় আমরা শুধু অভিযোগ জানাই। কোনো প্রতিকার পাই না। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ সোহাগ হোসেনের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়ায় অনেক সুবিধাভোগীর টাকা হ্যাক হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের চাহিদা তালিকা পাঠাই। টাকার প্রসেস কয়েক ধাপ। কোথা থেকে হ্যাকাররা কোডসহ তথ্য সংগ্রহ করে সেটা বোঝা মুশকিল। ভুক্তভোগীমহল সূত্র জানান, দিঘলিয়া থেকে প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা হ্যাক হচ্ছে তার পরিমাপটা মোটা অংকের যা তদন্ত সাপেক্ষে আশু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবী।