ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বটতলা সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ তৈরির জন্য তিনটি পুরাতন গাছ কাটার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদ, পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যে ও ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীণ ভয়েস। সোমবার (৪ মার্চ) সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কাটা গাছের পাশেই ছাত্র ইউনিয়ন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পাশাপাশি ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন অবস্থান কর্মসূচি, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীণ ভয়েস স্মারকলিপি, অভয়ারণ্য এর প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গণস্বক্ষর নিয়েছেন ও চিত্রাঙ্কন প্রতীকি প্রতিবাদ করেছেন। এসময় ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, 'মঞ্চ নিমার্নের নামে গাছ কাটার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা যানাচ্ছি। ক্যাম্পাসে উন্নয়নের নামে গাছ কাটার মহাযজ্ঞ চলছেই, ইতোপূর্বে ও প্রশাসন বিভিন্ন অজুহাতে ক্যাম্পাসের প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষনিধন করেছে, কিন্তু সে পরিমাণ বৃক্ষরোপন করেনি। উন্নয়ন যদি প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তার ফলাফল হয় বিপর্যয়কর। যে কোনো উন্নয়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কোনো প্রকার পরিবেশের ক্ষতি না করেই করা সম্ভব।' এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীণ ভয়েসের সভাপতি মাজেদুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, 'আমরা আজ স্মারক লিপি দিয়েছি। উপাচার্য, উপ উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, এস্টেট অফিস, প্রকৌশল অফিস বরাবর এসব লিখিত দেয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের ৫ দফা দাবিতে -উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বৃক্ষ নিধন বন্ধ, সুপরিকল্পিত বনায়ন ও পরিচার্যা করা, কর্তন কৃত বৃক্ষের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দ্বিগুণ বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে, বনায়ন রক্ষার্থে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন করা, প্রাকৃতিক ভারসাম্যপূর্ণ ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।' এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য মহোদয় আসলে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বসে আলোচনা করা হবে।'