গভীর রাতের দাউ দাউ আগুনে পুড়েছে ২ হাজার ব্রয়লার মুরগি। একই সাথে পুড়েছে ২ হাজার মুরগির এক মাসের খাবরসহ ৩শ ফুট লম্ব মুরগির বসতঘরটি। এতে করে ঐ খামারির প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে করা হিসেবে দেখা গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এমনটি হয়েছে বলে চাঁদপুর কন্ঠকে জানিয়েছেন ভাই ভাই এগ্রো ফার্মের মালিক মো. সাখাওয়াত হোসেন। রোববার (৩ ফেব্রূয়ারী) রাত দেড়টার দিকে হাজীগঞ্জের কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাড়ামূগা গ্রামের মজুমদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। খামারের শ্রমিক মো. আরাফাত হোসেন জানান, রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক রাত ১২টার দিকে খামারে মুরগির বাচ্ছাদের খাবার দিয়ে এবং সবকিছু দেখে শুনে তারা ঘুমাতে যান। এরপর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি ডাক-চিৎকার দেন এবং খামারের মালিক সাখাওয়াত হোসেনকে ফোন করে জানান। পরে সাখাওয়াত হোসেন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন। আরাফাত হোসেন আরো জানান, আগুন দেখনে পেয়ে স্থানীয় ও এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা পুরো খামারের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রায় একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা, এক মাসের খাবার ও ৩’শ ফুট লম্বা ঘরটি পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধীকারী মো. সাখাওয়াত হোসেন কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বালাখাল বাজারে পোল্ট্রি ফার্মের খাবার, ঔষধ ও মুরগির বাচ্ছার ডিলারশিপের ব্যবসা করেন এবং বলাখাল এলাকায় বসবাস করেন। কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, আমি খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আগুনে একজন খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।