ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভর্তিকৃত রোগীরা ছোটাছুটি শুরু করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩তলায় অবস্থিত শিশু ওয়ার্ডের পর পর তিনটি বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডে ফায়ার দিয়ে ধোয়া বের হতে থাকে। এসময় রোগীর স্বজনদের মধ্যে চরম আগুন আতংকের সৃষ্টি হয়। সাথে সাথে তারা তাদের সন্তানদের কোলে নিয়ে দ্রুত ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে নিচে নেমে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস-এর কর্মিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এর মধ্যে ওয়ার্ডে দায়িত্বর নার্স শাহানাজ পারভীন ওই ওয়ার্ডের বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলে ধোয়া বন্ধ হয়ে যায়। ততক্ষণে হাসপাতালে সামনে শত শত মানুষ জড় হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে জানান, ওয়ার্ডের বৈদ্যুতির সুইচ বোর্ডের মধ্যে টিকটিকি যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। আপাতত ওই ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ না থাকায় সেখান থেকে রোগী সরিয়ে অন্য ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্কাস আলী জানান-বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এমনটি হয়েছে। সাথে সাথে মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়ায় তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। কোটচাঁদপুর পোষ্ট অফিস পাড়ার আজমিরা খাতুন বলেন-আমার ১বছর বয়সী ছেলে মেহম্মেদ-এর ডায়রিয়া জনিত কারণে ওই শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলাম। ঘটনার সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। অন্য রোগীর স্বজনদের চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং দ্রুত তাদের সাথে আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের নিচে নেমে আসি। তিনি বলেন আগুনের ভয়ে সবার মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছিলো।