গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের দূর্গম কাদেরের চরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় কোমলমতি আড়াই শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমান সরকার সবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করলেও ঐ দূর্গম চরের ৩ সহস্রাধিক পরিবারের কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌছে দেওয়ার জন্য নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ইতোপূর্বে এনজিও কর্তৃক কিছুদিন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করলেও বর্তমানে তা নেই। এতে করে কোমলমতি আড়াই শতাধিক শিশু বর্তমানে নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে। তারা ক্ষেত খামারে কাজ করাসহ গবাদি পশু দেখাশুনা করে বড় হয়ে উঠছে। ঐ চরে শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া অল্প বয়সে মেয়েরা সন্তানের মা হওয়ায় নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঝড়ে পড়ছে শত শত প্রাণ। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, অভিভাবক কাদের, জুরাইন, মর্জিনা, আজাদুলসহ অনেকে জানান, তিস্তা ব্রহ্মপুত্র নদী বেষ্টিত ঐ চরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় তাদের ছেলে-মেয়েদের নদী পাড়ি দিয়ে সুদুর কামারজানী বা ভাটিবুড়াইলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাদের শিক্ষা গ্রহণের মানুসিকতা থাকলেও অনিচ্ছা স্বত্বেও সাংসারিক কাজ করাতে বাধ্য করতে হচ্ছে। মেয়েরা একটু বড় হলেই বাল্য বিয়ের স্বীকার হচ্ছে। চরটিতে সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর জন্য যারা জনপ্রতিনিধি হন তাদের নিকট বার বার দাবী জানিয়েও কোন সাড়া মিলছে না। স্থানীয়রা তাদের চরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সরকারের নিকট জোড় দাবী জানান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া কাদেরের চরটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঐ চরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানাবো। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আর্কষন করবো এবং যাতে ঐ চরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় সে চেষ্টাই চালাবো।