কিশোরগঞ্জের দুটির উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনকারী সংযুক্ত হাওরের নাম জোয়ানশাহী। দেশের অন্নতম খাদ্য উৎপাদনকারী যোগানদাতা বলা চলে এই হাওরকে। এ হাওরের বুক দিয়ে কৃষি যন্ত্রাংশ ও ধান আনা নেওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। একারণে রাস্তা বক্স খালভার্ট ও ভেঙ্গে পড়ে থাকায় উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক সীমাহীন ভুগান্তিতে পড়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করনে। এসব কারণে কৃষকদের ভুগান্তির জন্য প্রধানত দায়ি তদারকি ও দেখবালের অভাব। বৃষ্টির সময় কৃষকদের চরম আকার ধারণ করতে হয় বলে তাদের অভিযোগ। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের বোরো জমি রয়েছে। পাশাপাশি তাদের দশ লক্ষাধিক মণ বোরো ধান বিভিন্ন ধরণের গাড়ি দিয়ে বাড়িতে ও নৌ-পথে ঘোড়াউত্তা নদী দিয়ে পাড় করতে গিয়ে অনেক খরচ গুনতে হয়। এই রাস্তাটি আনুমাণিক ৪-৫ কি:মি: পাকা করার ফলে আগের তুলনায় কিছুটা লাগব কমছে। অর্থ ও শ্রম অনেকটা কমে গেছে। তবে বড় সমস্যা রয়েই গেছে এই দুই উপজেলার। অষ্টগ্রামের কাছাকাছির হাওর থেকে সাপ হাওর হয়ে ছাতিরচর এলাকায় ধান আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে ছাতিরচরের কৃষকদের। সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায় রাস্তা আর বোরো জমির উচ্চতার ব্যবধান না থাকায় জমির পানি কোথায় কোথায় টুই-থুম¦র হয়ে যাই। রাস্তা থলিয়ে গেলে হেটে ও পাড় হওয়া যায় না। এর মধ্যো দিয়ে কঠিন সংগ্রাম করতে গিয়ে তাদের হালের গরু, মহিষ খুব কষ্টে আনতে হয়। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ দুই দিকেই পাকা করা আছে অথয হুমাইপুর থেকে কারানল ব্রিজ পর্যন্ত ৫-৬ কি: মি: রাস্তা পাড় হওয়া যাই না। তাদের কে অনেক কষ্ট করতে হয়। হুমাইপুর উপ-প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের একোয়ারের কাজ সেটি। ৫-৬ বছর আগে এলজিডির অধিনে এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মেরামতের অভাবে পূর্ণ মেরামতে ও কোন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে ভুগান্তি রয়েই গেছে কৃষকদের। কৃষি অফিসের কোন মাথা ব্যথা নেই। কোন সময় তাদেরকে মাঠে আসতে দেখা যায় না। হুমাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ধনু মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি এই সব অভিযোগের কথা কৃষকদের কাছ থেকে শুনেছি। নিম্নমানের কাজের জন্য কৃষকরা দূভোগ পোহাচ্ছে দীর্ঘদিন দরে। ছাতিরচরের চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান চৌধুরী ইয়ার খান বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষে অনেক বড় বড় কাজ হয়েছে। তবে ৫-৬ কি: মি: রাস্তার জন্য কৃষকদের ভুগান্তির অন্ত নেই বলে উল্লেখ নেই। নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাওরের কৃষকরা বরাবরই দূভোর্গ হোপাচ্ছে। নিকলী উপজেলা ইউনিয়ন সামছুর আলম রাকিব বলেন, রাস্তার উন্নয়েন কাজ তার সময়ে হয় নি। তবে এই বিষয়ে তিনি খুব একটা জানেন না।