ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিষোদগার করেছেন বক্তারা। এমপি’র উপস্থিতিতেই মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল লোকজন বিষোদগারে মাতিয়ে তুলেছিলেন সভা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভানেত্রী রোকেয়া বেগম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আমিন খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন। বক্তারা বলেন, ৭১ এ ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বোদ্ধ হয়ে জীবনের মায়া ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আর ৫৩ বছর এখন রাজাকারের উত্তরসূরি ও তাদের স্বজনদের দ্বারা বিনাকারণে অন্যায় ভাবে হেনস্থা হচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে রাজাকার হলে কোটি কোটি রোজগার করতে পারতাম। আ’লীগের বড় নেতা হতে পারতাম। কারণ এখন দেখছি সরাইলে মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে রাজাকারের উত্তরসূরিদের কদর ও সম্মান বেশী। এমন একটি গুরূত্বপূর্ণ দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা আ’লীগের দায়িত্বশীল নেতারা অনুপস্থিত। তাড়াহুড়া করে ফুল দিয়ে পালিয়ে দ্রƒত চলে যাওয়ার মত নেতাদের দলে কোন প্রয়োজন নেই। সরাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে দল করেন। দলীয় জাতীয় অনুষ্ঠানের কোন গুরূত্ব উনাদের কাছে নেই। যারা কটাক্ষ করে আওয়ামী লীগকে আলমারি লীগ বলেন তারাই দলটির উপজেলা পর্যায়ের ভাল পদে থাকেন। তারা নির্বাচন এলে আ’লীগের বিরূধীতা করেন। উনারা ষড়যন্ত্র করে দলটিকে শেষ করে দিচ্ছেন। বক্তারা বলেন, ভাল না লাগলে দল ছেড়ে দিন। ষড়যন্ত্র আর কায়দা কানুন করে আওয়ামী লীগ করলে তৃণমূলে আপনাদের স্থান হবে না।