ইসলামে মানুষের উদ্যম ও কর্মতৎপরতা পছন্দনীয়। অলসতা, অকর্মণ্যতা অপছন্দনীয়। বিশেষত ইবাদতে যারা অলসতা করে, কোরআনে আলস্নাহ তাদের নিন্দা করেছেন। এটাকে মুনাফিকদের কাজ বলে উলেস্নখ করেছেন। আলস্নাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ یُخٰدِعُوۡنَ اللّٰهَ وَ هُوَ خَادِعُهُمۡ وَاِذَا قَامُوۡۤا اِلَی الصَّلٰوۃِ قَامُوۡا کُسَالٰی یُرَآءُوۡنَ النَّاسَ وَ لَا یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰهَ اِلَّا قَلِیۡلًا
নিশ্চয় মুনাফিকরা আলস্নাহকে ধোঁকা দেয়, তিনিও তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেন আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন অলসভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায় এবং তারা আলস্নাহকে কমই স্মরণ করে। (সুরা নিসা: ১৪২)
হাদিসে অলসতাকে শয়তানের প্রভাব হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আলস্নাহর রাসুল (সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমায়, তার গ্রীবায় শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও। যদি সে জেগে উঠে আলস্নাহর জিকর করে, তাহলে একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি অজু করে, তবে তার আরেকটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি নামাজ পড়ে, তাহলে সমস্ত গাঁট খুলে যায়। আর তার প্রভাত হয় স্ফূর্তিপূর্ণ ভালো মনে। নচেৎ সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে। (সহিহ বুখারি: ১১৪২)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় শয়তানের প্রভাবে মানুষের মধ্যে অলসতা সৃষ্টি হয়। একইসাথে বোঝা যায় অলসতা দূর করার একটি উপায় হলো, রাতে উঠে আলস্নাহর জিকির করা ও অজু করে নামাজ আদায় করা।
অলসতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা আলস্নাহর কাছে দোয়াও করতে পারি। রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
হে আলস্নাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, ভীরম্নতা, কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে। (সহিহ বুখারি: ৩৪৮৫)
আলস্নাহর রাসুলকে (সা.) অনুসরণ করে এ দোয়ার মাধ্যমে আমরাও অলসতা থেকে আলস্নাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারি।