রাজশাহীর দুর্গাপুরে পানবরজে দূর্বত্তদের আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে হতদরিদ্র পানচাষী পরিবারের স্বপ্ন। ৭মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এলাকার পানচাষীরা। কুশাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেলো দুর্গাপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামের হতদরিদ্র পানচাষী মনসুরের স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ গ্রামের লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকলে বাড়ী থেকে লোকজন বের হয়ে দেখে বিলের মধ্যে আগুন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। গ্রামবাসীরা ছুঁটে গিয়ে পানবরজ আগুনে পুড়তে দেখে তড়িঘড়ি করে যে যারমতো ইলেট্রিক ও জল মটর এবং ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে আগুন নেভাতে থাকে। প্রায় পৌনে একঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা করে গ্রামবাসী আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এরই মধ্য কুশাডাঙ্গা গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর পানচাষী মনসুর রহমানের ১০ পুন লগরের পান বরজ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। হতদরিদ্র দিনমজুর পানচাষী মনসুর রহমান বলেন, শত্রুতা করে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো, আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম, এভাবেই আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেলো। দিনমজুরি করে খেয়ে না খেয়ে কিছু টাকা জমা করে অন্যের কাছ থেকে ১০ কাঠা জমি লীজ নিয়ে ধারদেনা আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পানের বরজটা করেছিলাম। দুইটি বছর ধরে পান বরজের পেছনে আমি আমার স্ত্রী সন্তান সকলে মিলে পরিশ্রম করে কিছু ঋণ শোধ করেছি, স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পান বরজটিতে আর দুইটি বছর পরিশ্রম করে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য একটি ছোট বাড়ী করার স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু কে বা কাহারা আমার স্বপ্ন দেখা ফসল পান বরজে আগুন দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে পথে বসালো। আগুনে পানবরজের প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কুশাডাঙ্গা গ্রামের পানচাষীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল কুশাডাঙ্গা গ্রামে পুড়ে যাওয়া পানবরজ পরিদর্শন করে সরকারের কাছে কিছু অর্থ সহযোগীতার জন্য আবেদন করার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মনসুরকে পরামর্শ দেন ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু। এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, পানবরজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনেছি, তবে এখনও কেউ জিডি বা অভিযোগ করতে আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।