‘নারীর সম অধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চাঁদপুর জেলায় ৮ই মার্চ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা’র উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক), চাঁদপুর,নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি ও এসডিএফ জেলা অফিস, চাঁদপুর এর নারী নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা রেলিতে অংশগ্রহণ এবং আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বশির আহমেদসহ জেলা পর্যায়ের নারী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। “শেখ হাসিনার বারতা নারী-পুরুষ সমতা” শীর্ষক আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীমা চাকমা, চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, চাঁদপুর পৌরসভার জেন্ডার কমিটির সভাপতি নারী কাউন্সিলর আয়েশা রহমান,বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চাঁদপুর সভাপতি ও মহিলা সংস্থার সদস্য মুক্তা পীযূষ, ব্র্যাক,চাঁদপুরের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাছিমা আক্তার ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম অফিসার এসএম তানভীর রশিদ। সভা প্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, আমাদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর শ্রম ও অবদানকে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে । আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের নারীসমাজকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং এবারের প্রতিপাদ্য-‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। জেলা প্রশাসক বলেন, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারীর সাফল্য উদযাপন ও নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়। নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।