দিঘলিয়ায় সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ির পাশে একটা সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে মোঃ জুয়েলের পুত্র মোঃ জীবন (১৯)। তাকে ধারালো দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে রক্তাক্ত জখম করেছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ির পাশে টর্চলাইটের আলো ধরাকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকার জুয়েলের পুত্র জীবনকে ধারালো দেশী অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত জীবনকে প্রথমে দিঘলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ির নিকট বারুইপাড়া মন্দীরের ঘাটের নিচে জীবন নামে এক যুবক টর্চের আলো ধরে এলাকায় অন্ধকার থাকার কারণে। এ সময় টর্চের আলো এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রানার চোখের ওপর পড়ে। এতে রানা জীবনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে জীবনের সাথে বাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জীবন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে গিয়ে বসে। পরে রানা তার অন্যান্য কিশোর গ্যাং সদস্যদের ডেকে এনে জীবনকে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে রক্তাক্ত জখম করে। তার আর্তচিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এলে রানা তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। লোকজন রক্তাক্ত জীবনকে উদ্ধার করে প্রথমে দিঘলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবুল আক্তারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।