উৎসবমূখর পরিবেশে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৮টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ইভিএম এ ভোট হওয়ায় অনেক নারী বৃদ্ধ ও অশিক্ষিত ভোটার ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। একাধিক মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন অনেক ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিলায় ভোট গ্রহন ধীর গতি হচ্ছে। নগরীর থানা ঘাট এলাকার বাসিন্ধা বক্লুী বেগমের সাথে কথা হয় মহাকালী স্কুল এন্ড কলেজে তিনি জানান, দুইবার গিয়েও আঙ্গুলে ছাপ না মিলায় ভোট দিতে পারলাম না। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ে এসেছি ভেসলিন দিয়ে এসেছি তাও ভোট দিতে পারলাম না। থানা ঘাটের আরেক বাসিন্ধা শাহিদা জানান, ভোট দিতে এসে কোন সময় ফিরে যেতে হয়নি। কিন্তু ছাপ না মিলায় এবার ভোট দিতে পারলাম না। নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ৫নং বুথে ইভিএম কাজ না ২০ মিনিট ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। ১নং ওয়ার্ডের খাগডহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে আঙ্গ্রুরে ছাপ না মিলায় ভোট দিতে পারছেন না অনেকেই। যার ফলে অনেকেই ভোট না দিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছে। মেয়র প্রার্থী সদ্যবিদায়ী মেয়র ইকরামুল হক টিটু নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুলে সকাল সাড় আটটায়, আরেক প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কি নগরীর এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউটে সকাল ৯টায় অপর প্রার্থী এহতেশামুল আলম নগরীর মুসলিম হাই স্কুলে সকাল সাড়ে নয় টায় ভোট প্রদান প্রদান করেন। পরে তারা সিটির বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কেন্দ্র পরদর্শনকালে মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে। কিন্তু অনেক ভোটারের আঙ্গ্রুরে ছাপ না মিলায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ভোট গ্রহনের গতিও একেবারে কম। আরেক মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম তিনি অভিযোগ করেন ইভিএম এর ব্যাপারে। তিনি বলেন, অশিক্ষিত ও বৃদ্ধ নারী পুরুষ ভোটার ভোট দিতে পারছেন না। তাছাড়াও সুষ্ঠ ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। অন্য একজন মেয়র প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কি টুজু ইভিএম নিয়ে কথা না বললেও জয়ের ব্যপারে বলেন, নির্বাচনে পেশিশক্তি আর টাকা খেলা না হলে জয় আমার হবে। কারণ সাধারন ভোটাররা আমাকে ভালবাসে ভোট দিচ্ছে। সিটিতে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রভিত্তিক পুলিশ ও আনসার ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৭টি টহল টিম, ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছেন।