গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বীর উজলী আমতলীস্থ ইস্পাহানি চা কোম্পানির আঞ্চলিক ডিপো থেকে কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল লুট হয়েছে। কাপাসিয়া থানা পুলিশ জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার গাজীপুর আদালতে পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার এস এম ইনছানুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরনে জানাযায়, কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের বীর উজলী আমতলীস্থ ফাইজ উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে কোম্পানির দুইটি গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল মজুত করেন। এই গোডাউন দুটির ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মোঃ শামীম আল মামুন (৩১)। সে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হৃদয়পুর গ্রামের মৃত দৌলত হোসেনের পুত্র। কোম্পানির মালামাল পরিবহন ভ্যান ম্যান হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন সালমান আহমেদ (২২)। সে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আমলা সদরপুর গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র। ইস্পাহানি কোম্পানির গোডাউনের দায়িত্বে নিয়োজিত তাদের পরস্পরের যোগসাজশে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে ১ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত যে কোন সময় বিভিন্ন রকমের চা পাতা, চাউল, ফুডস, ইস্পি ড্রিংকস পাউডার সহ ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ১০ টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গত এক সপ্তাহ যাবত পলাতক ছিলেন। থানা পুলিশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছেন। আটককৃতরা হলো: চট্টগ্রামের বাঁশখালির সামসুল ইসলাম (৫২), ডিপো ইনচার্জ শামীম আল মামুন (৩১), গোপালগঞ্জ সদরের রুবেল আহমেদ (৩৩), কুষ্টিয়া দৌলতপুরের পাভেল ইসলাম মেহেদী (৩২), বগুড়া শিবগঞ্জের হোসেন মন্ডল (৩৫), রাজশাহী গোদাগাড়ির আহসান হাবিব (৪৪)। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা, ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯ শত টাকার মালামাল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে কাপাসিয়া থানার মামলা নাম্বার ১১(৩)২৪। মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আসামীদের শনিবার সকালে গাজীপুর আদালতে পাঠিয়েছেন।