চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, ১২ তারিখ থেকে রোজা আরম্ভ হবে।অথচ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অবৈধ সরকারের আমলে কোনো জিনিসপত্রের দাম কমেনি।সরকার মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিদ্যুৎ-জ্বালানি-গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।শনিবার (৯ মার্চ) সকালে চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ গণসংযোগের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক আরো বলেন, ২০০৬ সালে কাঁচা তরিতরকারির কত ছিল আর এখন কত?। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা কচু মুখির ১০০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। মাছ মাংস ডাল চিনি এমনকি শাক সবজির দামও স্বাভাবিক। অভিধর সরকারের মন্ত্রীরা মিডিয়ার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে। কোন দ্রব্যমূল্যের দাম কি কমেছে। এইজন্য দেশের জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা যতদিন পর্যন্ত এই সরকারকে পদ থেকে বাধ্য করাতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকবো। আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। আগামীতেও আমাদের কর্মসূচি ইউনিয়নে ইউনিয়নে দেওয়া হবে।সেই কর্মসূচি গুলো সফল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি ঘোষিত ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এদিন সকাল সাড়ে দশটায় শহরের চিত্রলেখা মোড় হতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিম, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমুছ সালাম, পৌর বিএনপি'র সভাপতি আকতার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলাম মন্টু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী, প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট কোহিনুর আক্তার, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম রবিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ মাঝি, কৃষক দল সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাবিব ভূঁইয়া, তাঁতি দলের আহবায়ক আলি আহমদ কমিশনার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান রহমান লিটন, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ঈমান হোসেন গাজী সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।