বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এমপি বলেছেন, শিক্ষক কেবলি শিক্ষক নয়, একজন শিক্ষক সবার কাছে সম্মানিত। তার আর্থিক মর্যাদা বা অন্য কোনভাবে শিক্ষককে পরিমাপ করার সুযোগ নাই। তিনি কোন পরিবারে বেড়ে উঠেছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। একজন মানুষের জীবনের পরিবর্তন করতে পারে শিক্ষক। শনিবার (৯ মার্র্চ) দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শাহ্ নেয়ামত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার ছাত্র জীবনে যে কজন ব্যাক্তি আমার জীবনে উৎসাহ উদ্দীপনা জুগিয়েছেন তাদের সব কজনই আমার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এছাড়া আমার স্কুল জীবনে একজন শিক্ষক আমাকে সার্বিকভাবে যে দিক নির্দেশনা ও পরমার্শ দিয়েছিলেন, সেটি আমার পরবর্তী জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ছিল। সেলিম মাহমুদ বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা যেসব কথা বলেছেন এবং দাবী তুলেছেন সবগুলো আমি শুনেছি। আপনাদের দাবীগুলো যৌক্তিক। সরকার আপনাদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছেন। কচুয়ায় আমার পূর্বে যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমিও আপনাদের সাথে নিয়ে বাকী উন্নয়ন কাজগুলো করতে চাই। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষক সমাজকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে কাজ করেছেন। আজকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামগত উন্নয়ন ও পরিবেশের দিকে তাকালে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। আসুন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলে একসঙ্গে কাজ করি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী, কচুয়া উপজেলা যুবলীগ সভাতি ও পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় ড. সেলিম মাহমুদ এমপিকে শিক্ষক নেতারা ফুল ও নৌকা প্রতীক উপহার দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন।